বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাইন উদ্দিন, কুলিয়ারচর প্রতিনিধি :
বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই মোঃ জামান মিয়া ও মোঃ তাহের মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। ছোট ভাই জামান মিয়ার দাবি- তার বড় ভাই- তাহের মিয়া বাবার সম্পত্তি ফরায়েজ মতে তার প্রাপ্য অংশ থেকে ছয় শতাংশ জমি বেশি বিক্রি করে দিয়ে এখন আরও জমি পাবে বলে বেআইনিভাবে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে বড় ভাই তাহের মিয়ার দাবি- হিস্যানুযায়ী তার বাবার সম্পত্তি থেকে থাকে বঞ্চিত করেছে ছোট ভাই জামান মিয়াসহ অন্যান্য ভাই। আর এই নিয়ে দুই ভাইয়ের বিরোধ। বিরোধের এক পর্যায়ে বড় ভাই তাহের মিয়ার আত্যাচারে ছোট ভাই জামান মিয়া নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে দিয়ে প্রায় দেড় বছর যাবৎ অন্যের বাড়িতে বাসা ভাড়া করে দিনাতিপাত করছেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের পক্ষ থেকে থানায় একাধিকবার অভিযোগও দেওয়া হয়েছে। অবশেষে চলমান এই বিরোধ সামাজিকভাবে মিমাংসার লক্ষ্যে ছোট ভাই জামান মিয়া সালিশ ডাকে। সালিশের দিন ও তারিখ অনুযায়ী গত ২৮ মে রোববার সকাল ১০ ঘটিকায় স্থানীয় কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জামানের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় ছোট ভাই জামান মিয়াকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ায় বড় ভাই তাহের মিয়া সালিশিয়ানদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে সালিশানদের সাথে কথা কাটাকাটি করে ঘর থেকে শাবল এনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মানিক মিয়াকে শাবল দিয়ে পাড় মারে। এ সময় উপস্থিত লোকজন শাবলে ধরে ফেললে আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়া প্রাণে বাঁচে। তবে তার গর্দনায় আঘাত লাগে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নলবাইদ মধ্যপাড়া গ্রামের সমরউদ্দিন ব্যাপারীর বাড়ি নামে পরিচিত মরহুম হাজী রুছমত আলীর বাড়িতে। মোঃ জামান মিয়া ও মোঃ তাহের মিয়া হলেন, মরহুম হাজী রুছমত আলীর পুত্র। আর তাহের মিয়ার শাবলের আাঘাতে আহত আওয়ামী নেতা মোঃ মানিক মিয়া হলেন, নলবাইদ চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আফিজ মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মানিক মিয়া। ঘটনা জানতে তাহের মিয়ার মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।